নিজের
সম্পর্কে
কিছু
বলুন
(Tell me something about yourself) এই প্রশ্নের মুখোমুখি
প্রায়
কমবেশি
সবাই
হয়েছেন।
প্রধানত
ইন্টারভিউ,
বিভিন্ন
অনুষ্ঠান
বা
নতুন
মানুষের
সাথে
পরিচয়ের
সময়
এই
প্রশ্নটি
বেশি
শোনা
যায়।
এই
অভিব্যক্তি
মূলত
একজনকে
আরেকজনের
ব্যক্তিত্ব
সম্পর্কে
অবগত
করতে
সাহায্য
করে।
কোন
বিষয়গুলো
‘নিজের
সম্পর্কে
কিছু
বলুন’-এর
উত্তরে
খেয়াল
রাখা
উচিত,
তা
আমরা
আজকের
আয়োজনে
শিখব।
১) Focus on What You are Saying (ফোকাস অন হোয়াট ইউ আর সেইং)
কথোপকথনের সময় কোন প্রেক্ষাপটে কোন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন তা খেয়াল রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন আপনি চাকরির ইন্টারভিউ(interview)
দিতে গেছেন সেখানে আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো ‘নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন’ তার উত্তরে আপনি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা বা চাকরির অভিজ্ঞতা নিয়ে বলবেন নাকি আপনার শখ, পছন্দের জিনিস ও পরিবার নিয়ে কথা বলবেন, এ ক্ষেত্রে আপনাকে focused হতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে যে কোন তথ্যগুলো প্রত্যাশিত। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইন্টাভিউয়ার্স(interviewers) মূলত পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে তার ব্যক্তিত্ব, কাজের অভিজ্ঞতা, ব্যবস্থাপনার দক্ষতা এবং একনিষ্ঠতা এই দিকগুলোকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। সুতরাং আপনি কোথা থেকে পাস করেছেন, কত সালে করেছেন. কী ডিগ্রি পেয়েছেন- এগুলোর বদলে বরং আপনার কিছু ভালো গুণের কথা উল্লেখ করুন; যেমন, I am very
hardworking , honest and punctual (আমি অনেক পরিশ্রমী, সৎ এবং সময়নিষ্ঠ)। এটি আপনার ভালো ভাবমূর্তি তৈরিতে সাহায্য করবে।
২) Put some colors behind the positive words (পুট সাম কালারস বিহাইন্ড দ্য পজিটিভ ওয়ার্ডস)
অর্থাৎ, আপনার positive qualities (ভালো গুণাবলি) একটু highlight (দৃষ্টিগোচর)
করুন। আমরা সাধারণত বলি যে,
I am a hard working person. (আমি একজন পরিশ্রমী ব্যক্তি)
I am dedicated. (আমি একনিষ্ঠ)
I am a problem solver. (আমি একজন সমস্যা সমাধানকারী)
কিন্তু আমরা যদি এসব দক্ষতা একটু উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করি তাহলে তা দৃষ্টিগোচর হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বাসযোগ্যও হবে। যেমন আপনি I am a problem solver বলার পাশাপাশি কেন নিজেকে problem solver দাবি করছেন সেটা আপনার যথাযথ কাজের উদাহরণ দিয়ে সুস্পষ্ট করলে তা আরো ফলপ্রসূ হবে।
৩) KISS ( Keep it short and simple)
আপনাদের নিশ্চয়ই এমন মানুষের সাথে পরিচিতি আছে যারা মানুষের সাথে কথা বলতে, তাদের চিন্তাচেতনা ভাগাভাগি করতে অনেক পছন্দ করে। কিন্তু কোনো আনুষ্ঠানিক পরিস্থিতিতে (formal situation) যেমন চাকরির ভাইভাতে এ ব্যপারে সংযত থাকাটা প্রত্যাশিত কারণ, যাতে অপরপক্ষ আপনার বেশি কথায় বিরক্ত না হয় এবং অন্যকিছু জিজ্ঞেস করার সুযোগ পায়। সুতরাং ‘নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন’-এর পরিপ্রেক্ষিতে নিজের সম্পর্কে শুধু ভালো দুই তিনটা দিক তুলে ধরুন এবং চেষ্টা করুন আপনার উত্তরগুলো যথাযথ ও সংক্ষিপ্ত রাখার।
৪) Listen to others (অন্যের কথা শুনুন)
যদিও tell me something about yourself প্রশ্নটি আপনাকেই করা হয়েছে তারপরও অন্যকে কথা বলার সুযোগ দিন এবং তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। অন্যকে সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমেই আপনি যে একজন ভালো শ্রোতা তার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে।
৫) Don’t use complex language ( ডোন্ট ইউজ কমপ্লেকজ ল্যাংগুয়েজ)
অর্থাৎ, কথোপকথনের সময় সহজ ভাষা ব্যবহার করুন। এটা প্রয়োজনীয় নয় যে আপনি যেসব কঠিন শব্দ, বাক্যাংশ বা বাক্য জানেন তা দৈনন্দিন কথাবার্তায় ব্যবহার করতে হবে। জটিল বাক্য ব্যবহারে অনেক সময় ব্যাকরণ এবং উচ্চারণে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই ক্ষেত্রে আপনি উদাহরণস্বরূপ ‘The party was
grandiloquent’
(গ্র্যান্ডি’ল্যাকোয়েন্ট) অর্থাৎ ‘অনুষ্ঠানটি জমকালো ছিল’-এর পরিবর্তে ‘ The party was
fantastic (ফ্যান্ট্যাস্টিক )/ great( গ্রেট )/ superb (সুপারব ) বলতে পারেন, এতে উচ্চারণ এবং অর্থ বুঝতে কোনোই সমস্যা হবে না।
Source: Skillopedoa YouTube Channel
0 Comments